নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস নিয়ে তটস্থ সারাবিশ্ব। এরই মধ্যে এর ভ্যাকসিন পাওয়ার দৌড়ে বিভিন্ন দেশ এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশের ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের শেষ দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের মিটিং সেট করা হয়েছে। সেই মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে চীনকে বাংলাদেশে তাদের ভ্যাকসিন ট্রায়াল করতে দেওয়া হবে কিনা। এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে চীন বাংলাদেশে কতো মানুষের ওপর ট্রায়াল করবে, এক্ষেত্রে চীন আমাদের কতো টাকা দেবে, ট্রায়াল হলে চীন কি শর্তে ভ্যাকসিন দেবে-সেসব নিয়ে সিদ্ধান্তের পর চীনকে ট্রায়াল করতে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করছে তা বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করার জন্য তারা চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে এবং অ্যাডভান্স নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানাসহ অন্য ভ্যাকসিন উদ্ভাবক কোম্পানিগুলোর সঙ্গেও বিভিন্ন দেশ চুক্তি করছে এবং অ্যাডভান্স দিচ্ছে। যারা আগে থেকে অ্যাডভান্স করে রাখছে, তাদের আগে টিকা সরবরাহ করবে কোম্পানিগুলো। আমরাও এসব কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করা কিংবা অ্যাডভান্স দেওয়ার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকা উদ্ভাবক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থাটির লক্ষ্য হলো শুরুতে বিভিন্ন দেশের ৩ শতাংশ মানুষকে টিকা সরবরাহ করা এবং আগামী মার্চে তারা ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা সরবরাহের উদ্দেশ্যে কাজ করছে।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, টিকা সংগ্রহের জন্য একটি সোর্সের ওপর নির্ভর করলে এটা পাওয়া কঠিন হবে। সেজন্য যদি একাধিক সোর্স থেকে এ ভ্যাকসিন আমরা সংগ্রহ করতে পারি। আমি এরই মধ্যে দেখেছি যেসব দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করবে তাদের সাথে অনেক দেশ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, অগ্রিম টাকাও দিয়েছে। আমাদেরও এ ধরনের ব্যবস্থায় যেতে হবে।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, যে সোর্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আগে পাওয়া যাবে তাদের সাথেই যোগাযোগ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যদি সরাসরি অক্সফোর্ডের সাথে যোগাযোগ করতে নাও পারি তাহলে ভারতে যৌথভাবে যোগাযোগ করতে হবে। টিকা কেনা বা দ্রুত পাওয়ার জন্য বাজেটে টাকাও বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সুতরাং এক সোর্সের ওপর নির্ভর না করে একাধিক সোর্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছি। রাশিয়ার টিকা পাওয়ার জন্য সে দেশের সোর্সের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি।